আমি সব সময় দোয়া করি কেউ যেনো বেকার জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলি না অনুভব করে।
এককালে আমিও বেকার ছিলাম, কি যে দিন গেছে তা আমি আর আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কতটা অসহায়ত্বের ভিতর দিন কাটিয়েছি তার হিসাব কেউ রাখে নি। একে তো বেকার জীবনের চাবুকের আঘাত তার উপর সাত বছরের আস্ত একটা প্রেমের কষ্ট।
একেকটা রাত যেনো আমার জন্য বিভেষিকাময় ছিলো। একেকটা নির্ঘুম রাতের ঠ্যালা যে কতখানি তা কিভাবে আমি বুঝিয়ে বললো ?? সেই ভাষাও আমার জানা নেই।
মা বাবা বলে কী পড়াশুনা করলি যে চাকরী জুটাতে পারিস না, আত্নীয় স্বজন বলে ওমুকের ছেলে এই হইছে অমুকের ছেলে ঐ হইছে তোরা কি করিস ??? পকেটে টাকা নেই মনে শান্তি নেই । উফ সেই দিনগুলি…… ভাবা যায় না।
চাকরীর আবেদন করতে গেলে লাগতো গাদা গাদা টাকা। বাবা বলতো লেখাপড়ার পিছনে একগাদা টাকা তখরচা করে আবার চাকরীর আবেদন করতে গাদা টাকা দিতে হচ্ছে।
তবে সব থেকে বেশি রাগ হতো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকরীদাতা/চাকরীর বিজ্ঞাপন দাতাদের একটি অপশন দেখলে। বলা হতো প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক চারিত্রিক সনদ পত্রের কথা।
একটা নমুনা দিলামঃ
চারিত্রিক সনদ পত্র
প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত
এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, নামঃ অমুক পিতার নামঃ তমুক মাতার নামঃ সেমুক গ্রামঃ ------- পোষ্টঃ --------- থানাঃ ------- জেলাঃ---------- সে আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র ভাল। আমার জানা মতে সে কোন প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত না।
আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
এবার বলেন এমন একটা সনদ নিতে হবে এমন লোকের কাছ থেকে যে জানেই না আমি আসলে কে? আমার স্বভাব চরিত্রই বা কেমন। আবার দেখেন সব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।
এগুলা কেনো দরকার ?? আমি এটাই বুঝি না।
আচ্ছা বাবা আমি যদি ডুপ্লিকেট কাগজ ফটোকপি করে চাকরীর আবেদন করি এবং আমি যদি ধরা পড়ি তবে তারা দরকারে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। দরকারে আমাকে জেল জরিমানা করবে। আমার কোন আপত্তি নেই। তবুও কেনো এই সত্যায়িত করার ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।
অনেকেই তো নকল সীল প্যাড বানিয়ে আরামসে সনদ সত্যায়িত করে। আর এ বিষয়টা সবারই জানা কথা। আজ যে লোকটা প্রথম শ্রেনীর অফিসার হইছে সেই ব্যাটাও জানে হয়তো তাদের ভিতরেও কেউ কেউ একই পন্থায় সত্যায়িতও করেছে।
এমনিতেই ছাত্ররা / বেকাররা নানান ঝামেলায় থাকে তার উপর সত্যায়িত আর চারিত্রিক সনদপত্র জোগাড় করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। অনেক শয়তান মার্কা অফিসার আছে যারা মুখের উপর বলে দেয় আমি সত্যায়িত করি না। আমরা তখন আরেক জনের কাছে দৌড়াই সত্যায়িত করার জন্য।
মানলাম অনেকের মামা খালু আছে অনেকের সত্যায়িত করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আবার অনেকের কাছেই এটা ব্যাপার। অনেক লোয়ার ফ্যামিলীর ছেলে/মেয়ে আছে যাদেরকে অনেক অফিসার পাত্তাই দেয় না । অথবা তারা দিশা পায় না সত্যায়িত করার জন্য কার কাছে যাবে। আবার অনেকেই আছে যারা শুনলো অমুক জায়গায় আবেদন করা যাবে চাকরী কিংবা ভর্তির জন্য। কিন্তু দেখা যাবে সময় সংক্ষেপ তখন সত্যায়িত করবে নাকি আবেদনপত্র জমা দিবে।
উফ এর একটা বিহীত হওয়ার প্রয়োজন। এর একটা সহজ সমাধান হওয়া উচিৎ।
আমি শিক্ষা কষ্ট করে শিক্ষা অর্জন করে সনদ পাইলাম আবার চাকরী কিংবা উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার জন্য ভর্তির আগে সত্যায়িত করতে হবে। ভাবলেও তো কেমন লাগে।
ঐ সব ব্রিটিশ প্রিয়ডের নিয়ম কানুন যে কবে দেশ থেকে যাবে আল্লাহয় ভালো জানেন……
এককালে আমিও বেকার ছিলাম, কি যে দিন গেছে তা আমি আর আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কতটা অসহায়ত্বের ভিতর দিন কাটিয়েছি তার হিসাব কেউ রাখে নি। একে তো বেকার জীবনের চাবুকের আঘাত তার উপর সাত বছরের আস্ত একটা প্রেমের কষ্ট।
একেকটা রাত যেনো আমার জন্য বিভেষিকাময় ছিলো। একেকটা নির্ঘুম রাতের ঠ্যালা যে কতখানি তা কিভাবে আমি বুঝিয়ে বললো ?? সেই ভাষাও আমার জানা নেই।
মা বাবা বলে কী পড়াশুনা করলি যে চাকরী জুটাতে পারিস না, আত্নীয় স্বজন বলে ওমুকের ছেলে এই হইছে অমুকের ছেলে ঐ হইছে তোরা কি করিস ??? পকেটে টাকা নেই মনে শান্তি নেই । উফ সেই দিনগুলি…… ভাবা যায় না।
চাকরীর আবেদন করতে গেলে লাগতো গাদা গাদা টাকা। বাবা বলতো লেখাপড়ার পিছনে একগাদা টাকা তখরচা করে আবার চাকরীর আবেদন করতে গাদা টাকা দিতে হচ্ছে।
তবে সব থেকে বেশি রাগ হতো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকরীদাতা/চাকরীর বিজ্ঞাপন দাতাদের একটি অপশন দেখলে। বলা হতো প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক চারিত্রিক সনদ পত্রের কথা।
একটা নমুনা দিলামঃ
চারিত্রিক সনদ পত্র
প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত
এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, নামঃ অমুক পিতার নামঃ তমুক মাতার নামঃ সেমুক গ্রামঃ ------- পোষ্টঃ --------- থানাঃ ------- জেলাঃ---------- সে আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র ভাল। আমার জানা মতে সে কোন প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত না।
আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
এবার বলেন এমন একটা সনদ নিতে হবে এমন লোকের কাছ থেকে যে জানেই না আমি আসলে কে? আমার স্বভাব চরিত্রই বা কেমন। আবার দেখেন সব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।
এগুলা কেনো দরকার ?? আমি এটাই বুঝি না।
আচ্ছা বাবা আমি যদি ডুপ্লিকেট কাগজ ফটোকপি করে চাকরীর আবেদন করি এবং আমি যদি ধরা পড়ি তবে তারা দরকারে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। দরকারে আমাকে জেল জরিমানা করবে। আমার কোন আপত্তি নেই। তবুও কেনো এই সত্যায়িত করার ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।
অনেকেই তো নকল সীল প্যাড বানিয়ে আরামসে সনদ সত্যায়িত করে। আর এ বিষয়টা সবারই জানা কথা। আজ যে লোকটা প্রথম শ্রেনীর অফিসার হইছে সেই ব্যাটাও জানে হয়তো তাদের ভিতরেও কেউ কেউ একই পন্থায় সত্যায়িতও করেছে।
এমনিতেই ছাত্ররা / বেকাররা নানান ঝামেলায় থাকে তার উপর সত্যায়িত আর চারিত্রিক সনদপত্র জোগাড় করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। অনেক শয়তান মার্কা অফিসার আছে যারা মুখের উপর বলে দেয় আমি সত্যায়িত করি না। আমরা তখন আরেক জনের কাছে দৌড়াই সত্যায়িত করার জন্য।
মানলাম অনেকের মামা খালু আছে অনেকের সত্যায়িত করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আবার অনেকের কাছেই এটা ব্যাপার। অনেক লোয়ার ফ্যামিলীর ছেলে/মেয়ে আছে যাদেরকে অনেক অফিসার পাত্তাই দেয় না । অথবা তারা দিশা পায় না সত্যায়িত করার জন্য কার কাছে যাবে। আবার অনেকেই আছে যারা শুনলো অমুক জায়গায় আবেদন করা যাবে চাকরী কিংবা ভর্তির জন্য। কিন্তু দেখা যাবে সময় সংক্ষেপ তখন সত্যায়িত করবে নাকি আবেদনপত্র জমা দিবে।
উফ এর একটা বিহীত হওয়ার প্রয়োজন। এর একটা সহজ সমাধান হওয়া উচিৎ।
আমি শিক্ষা কষ্ট করে শিক্ষা অর্জন করে সনদ পাইলাম আবার চাকরী কিংবা উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার জন্য ভর্তির আগে সত্যায়িত করতে হবে। ভাবলেও তো কেমন লাগে।
ঐ সব ব্রিটিশ প্রিয়ডের নিয়ম কানুন যে কবে দেশ থেকে যাবে আল্লাহয় ভালো জানেন……
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন