বর্তমানে আত্মহত্যার হার বেড়েছে অনেকবেশী। বিশ্বে ৩৮ তম এবং এশিয়া মহাদেশে দশম স্থানে
আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাম বাংলাদেশ। আপনারা ভালোই জানেন পৃথিবী জটিল হচ্ছে, সেইসাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রা জটিল হবার ফলে সম্পর্ক ও একাকীত্ব... সবমিলিয়ে সৃষ্টি করছে অপরিমেয় মানসিক শূণ্যতা। কিন্তু যত শূণ্যতাই হোক আমাদের ইচ্ছাশক্তিই পারে আমাদের আত্মহত্যার মতন নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে।
শুনেছি আত্মহত্যা করার সময় কোনকিছু চিন্তার অবকাশ থাকেনা,তবে একেবারেই কি চিন্তার অবকাশ থাকেনা? নাকি শুধু না পাওয়াগুলোই শেষবারের মতন আবারও স্মরণ করা হয়! অনেকেই তো আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে ফিরে আসেন পজিটিভ চিন্তার উদয়রেখার কারণেই। আত্মহত্যার আগ মূহুর্তে কেউ একটিবারও যদি নিজের মায়ের অথবা নিজের সন্তানের মুখটা মনে করে,তবে অন্তত একবার হলেও তার বাঁচতে ইচ্ছে হবে। আত্মহত্যা তবুও করবেন? আপনার চোখে স্বপ্ন নেই বলে? বিনা দোষে কালো রাজনীতির জন্য অগ্নিদগ্ধ হওয়া পরিবারটির সন্তান যখন নিজের মা বাবাকে শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে দেখে তার চোখেও কোনো স্বপ্ন থাকেনা! আপনার অবস্থা যদি তার মত হয় তবুও বলি বিশ্বাস রাখুন... একদিন আপনি স্বপ্ন দেখবেন যেদিন আপনার কাছে জীবন মানে হবে সব অপূর্নতাকে মেনে নিয়ে বাঁচতে শেখা। মায়ের চেয়ে বড় মায়াবতী যেমন পৃথিবীতে আর নেই,তেমনি সন্তানের মাঝে নিজেকে ফিরে পাবার মতন অনুভূতিও পৃথিবীতে একটাই!
যদি বলেন আপনার আপন কেউই নেই মা ও নেই সন্তানও নেই ভালোবাসার মানুষটিও নেই প্রিয় পিতার ছায়াও নেই তবুও নিজেকে হত্যা করার আগে মনে রাখবেন মা'কে অসহ্য কষ্ট দিয়ে তার গর্ভ থেকে বীরদর্পে আপনার বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই আজকের স্বেচ্ছা মৃত্যুকে আলিঙ্গন হতে পারেনা! মা'কে হারিয়েছেন? তাহলে শুনে রাখুন এই পৃথিবীর প্রতিও আপনার দায়িত্ব অনেক, কোনো ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করাটা স্রেফ সাময়িক আবেগগত বোকামি। যেই পৃথিবীর আলো হাওয়ায়-স্নেহছায়ায় বড় হয়েছেন তার ঋণ চাইলেই শোধ করতে পারবেন সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার দ্বারা। আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া, আপনি বেঁচে থাকলেও আপনার দ্বারা কিচ্ছুটি হবেনা এটা বলবেননা বরং একটা আহত শালিককে খাঁচা থেকে মুক্ত করার মাঝেও আপনি পৃথিবীর ঋণ শোধে অংশ নিতে পারেন।অনেক কাজ বাকি... যতই ব্যর্থ হন ফুটপাতের মাঝখানে পড়ে থাকা কাঁচের টুকরোটা পথ চলার সময় পা দিয়ে সরিয়ে ফেলে হলেও আপনি কোনো অন্ধের পায়ের অসহ্য যন্ত্রণাময় রক্ত রুখতে পারেন। এতোটুকুর মাঝেও আপনার অনেক সার্থকতা,হতে পারে এটাকে অনেকেই সার্থকতা বলবেননা, কিন্তু আপনি জানেন আমি জানি মনুষ্যত্ত্ব জানে একটা মৃতপ্রায় গাছকে পানি দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার মাঝেও মানুষ বাঁচতে পারে যদি চোখ মেলে একবার তাকায় আত্মহত্যা নামক কালশিটে পড়া নীলাভ চিন্তাটাকে একপাশে রেখে, অতশত নাইবা মানলেন... অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে হতাশায় আত্মহার হারও অনেক, এক্ষেত্রে ভেবে দেখেনতো পতিতাপাড়ায় জোরপূর্বক রাখা মেয়েগুলোর অর্থনৈতিক দৈন্যতা নেই কিন্তু প্রতিমূহুর্ত ধর্ষিতা হবার জীবন তাদের... তাহলে তাদের চেয়েও কি খারাপ আপনার জীবন?
আমি জানি আপনারা বলবেন বড় বড় কথা বলা সহজ হলেও বাস্তব অনুভূতি বা অনুভূতিহীনতা অনেক কঠিন। কিন্তু অনুভূতিহীনতাও একটি অনুভূতিরই নাম! ভালোবাসুন,ভালোবাসার মাঝে বাঁচুন। ভালোবাসা হতে পারে কলমের সাথেও। ভালোবাসুন আপনার পাশের মানুষটিকেও। বেঁচে থাকতে সাহস লাগে,সাহসিকতার সূত্রপাত ঘটুক আপনার আমার এবং প্রতিটি ব্যক্তির আত্মা হতে...
আত্মহত্যা = আত্মবিকৃতি = সৃষ্টিকে অপমান = পৃথিবীর সাথে কৃতজ্ঞহীনতার নামান্তর!
-নওশীন শিকদার
আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাম বাংলাদেশ। আপনারা ভালোই জানেন পৃথিবী জটিল হচ্ছে, সেইসাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রা জটিল হবার ফলে সম্পর্ক ও একাকীত্ব... সবমিলিয়ে সৃষ্টি করছে অপরিমেয় মানসিক শূণ্যতা। কিন্তু যত শূণ্যতাই হোক আমাদের ইচ্ছাশক্তিই পারে আমাদের আত্মহত্যার মতন নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে।
শুনেছি আত্মহত্যা করার সময় কোনকিছু চিন্তার অবকাশ থাকেনা,তবে একেবারেই কি চিন্তার অবকাশ থাকেনা? নাকি শুধু না পাওয়াগুলোই শেষবারের মতন আবারও স্মরণ করা হয়! অনেকেই তো আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে ফিরে আসেন পজিটিভ চিন্তার উদয়রেখার কারণেই। আত্মহত্যার আগ মূহুর্তে কেউ একটিবারও যদি নিজের মায়ের অথবা নিজের সন্তানের মুখটা মনে করে,তবে অন্তত একবার হলেও তার বাঁচতে ইচ্ছে হবে। আত্মহত্যা তবুও করবেন? আপনার চোখে স্বপ্ন নেই বলে? বিনা দোষে কালো রাজনীতির জন্য অগ্নিদগ্ধ হওয়া পরিবারটির সন্তান যখন নিজের মা বাবাকে শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে দেখে তার চোখেও কোনো স্বপ্ন থাকেনা! আপনার অবস্থা যদি তার মত হয় তবুও বলি বিশ্বাস রাখুন... একদিন আপনি স্বপ্ন দেখবেন যেদিন আপনার কাছে জীবন মানে হবে সব অপূর্নতাকে মেনে নিয়ে বাঁচতে শেখা। মায়ের চেয়ে বড় মায়াবতী যেমন পৃথিবীতে আর নেই,তেমনি সন্তানের মাঝে নিজেকে ফিরে পাবার মতন অনুভূতিও পৃথিবীতে একটাই!
যদি বলেন আপনার আপন কেউই নেই মা ও নেই সন্তানও নেই ভালোবাসার মানুষটিও নেই প্রিয় পিতার ছায়াও নেই তবুও নিজেকে হত্যা করার আগে মনে রাখবেন মা'কে অসহ্য কষ্ট দিয়ে তার গর্ভ থেকে বীরদর্পে আপনার বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই আজকের স্বেচ্ছা মৃত্যুকে আলিঙ্গন হতে পারেনা! মা'কে হারিয়েছেন? তাহলে শুনে রাখুন এই পৃথিবীর প্রতিও আপনার দায়িত্ব অনেক, কোনো ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করাটা স্রেফ সাময়িক আবেগগত বোকামি। যেই পৃথিবীর আলো হাওয়ায়-স্নেহছায়ায় বড় হয়েছেন তার ঋণ চাইলেই শোধ করতে পারবেন সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার দ্বারা। আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া, আপনি বেঁচে থাকলেও আপনার দ্বারা কিচ্ছুটি হবেনা এটা বলবেননা বরং একটা আহত শালিককে খাঁচা থেকে মুক্ত করার মাঝেও আপনি পৃথিবীর ঋণ শোধে অংশ নিতে পারেন।অনেক কাজ বাকি... যতই ব্যর্থ হন ফুটপাতের মাঝখানে পড়ে থাকা কাঁচের টুকরোটা পথ চলার সময় পা দিয়ে সরিয়ে ফেলে হলেও আপনি কোনো অন্ধের পায়ের অসহ্য যন্ত্রণাময় রক্ত রুখতে পারেন। এতোটুকুর মাঝেও আপনার অনেক সার্থকতা,হতে পারে এটাকে অনেকেই সার্থকতা বলবেননা, কিন্তু আপনি জানেন আমি জানি মনুষ্যত্ত্ব জানে একটা মৃতপ্রায় গাছকে পানি দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার মাঝেও মানুষ বাঁচতে পারে যদি চোখ মেলে একবার তাকায় আত্মহত্যা নামক কালশিটে পড়া নীলাভ চিন্তাটাকে একপাশে রেখে, অতশত নাইবা মানলেন... অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে হতাশায় আত্মহার হারও অনেক, এক্ষেত্রে ভেবে দেখেনতো পতিতাপাড়ায় জোরপূর্বক রাখা মেয়েগুলোর অর্থনৈতিক দৈন্যতা নেই কিন্তু প্রতিমূহুর্ত ধর্ষিতা হবার জীবন তাদের... তাহলে তাদের চেয়েও কি খারাপ আপনার জীবন?
আমি জানি আপনারা বলবেন বড় বড় কথা বলা সহজ হলেও বাস্তব অনুভূতি বা অনুভূতিহীনতা অনেক কঠিন। কিন্তু অনুভূতিহীনতাও একটি অনুভূতিরই নাম! ভালোবাসুন,ভালোবাসার মাঝে বাঁচুন। ভালোবাসা হতে পারে কলমের সাথেও। ভালোবাসুন আপনার পাশের মানুষটিকেও। বেঁচে থাকতে সাহস লাগে,সাহসিকতার সূত্রপাত ঘটুক আপনার আমার এবং প্রতিটি ব্যক্তির আত্মা হতে...
আত্মহত্যা = আত্মবিকৃতি = সৃষ্টিকে অপমান = পৃথিবীর সাথে কৃতজ্ঞহীনতার নামান্তর!
-নওশীন শিকদার
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন