বুধবার, ১০ জুন, ২০১৫

mCent ফ্রিতে রিচার্জ করুন, ইনকাম করুন


প্রিয় বন্ধুরা সবাইকে স্বাগতম৷ আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামীতে যেন সব সময় ভালো থাকেন এই কামনা রইলো৷
তো যাইহোক এন্ড্রোয়েড ইউজাররা mCent থেকে টাকা top up করুন, সবজান্তা দুরে থাকুন৷
top up জন্য প্রথমে নিচের লিংক থেকে App টি নামিয়ে নিন৷

এই লিংক থেকেই নামাতে হবে

অন্য জায়গা থেকে নামলে হবে কিনা জানিনা৷
লিংকে ক্লিক করার পর গুগোল Play Store থেকে সরাসরি app টি download and install হবে৷ রেজিস্টেশন করার পর নিচে কিছু apps বা game দেখতে পাবেন৷ ডাউনলোড করুন দেখুন আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে৷

যা যা করবেন,
১) আপনার নাম্বার দিয়ে Sign Up করেন৷
২) mCent অপেন করে দেখেন নিচে কিছু app অথবা game দেওয়া আছে যেগুলা ডাউনলোড করলে আপনি টাকা পাবেন৷
৩) ইচ্ছা মত একটা App এ ক্লিক করেন৷
৪) get the app এ ক্লিক করেন৷
৫) ইউসি, অপেরা অথবা ফায়ারফক্স select করেন৷
৬) ডাউনলোড শেষ হলে সাথে সাথে Play Store থেকে app টা অপেন করে ৩০সেকেন্ড অপেক্ষা করেন৷
৭) এরপর account এ টাকা অ্যাড হয়ে যাবে৷
৮) ৫০ টাকা হলে রিচার্জ করতে পারবেন৷

এবার ইচ্ছে মত টাকা রিচার্জ করুন আপনার ফোনে, যত ইচ্ছে তত৷

সবাইকে ধন্যবাদ৷ সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন এবং সব সময় এর সাথেই থাকুন৷

ভোর, পতিতা, অতঃপর ভালবাসা

সময়টা ২০৩৬ সাল, ৫ ফেব্রুয়ারী৷ গ্রীষ্মের পড়ন্ত বিকেল, সন্ধা ঘনিয়ে আসছে৷ উসকোখুসকো চেহারা আর ক্লান্তি নিয়ে কলেজ মাঠের পাশে পুকুর পাড় দিয়ে যাচ্ছি৷ গোসল শেষে ঘাটের সিড়ি বেয়ে ভেজা শরীরে এক পরিচিতের দেখা, কোমরের বাঁক টা এখনো সেই আগের মতই আছে, শরীর থেকে পানি ঝরছে, তবে সন্ধার মৃদু অন্ধকারেও এখন আর তার যৌবন উছলিয়ে পড়ে না. . .

মাসুম ভাইয়ের দোকানে গেলাম,
-ভাই, তিন'শ টাকা দিতে হবে, দিন দশেকের মধ্যেই দিয়ে দেব৷

সামান্য বিদ্যা নিয়ে বড় কিছুই হতে পারিনি বা আমাকে হতে দেওয়া হয়নি৷ যতসামান্য নিয়ে একটা হাইস্কুলে জুনিয়র শিক্ষক পদে কিছুদিন নিযুক্ত ছিলাম, মাস দু'য়েক হলো সেই শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছি৷ এখন পথে পথে ঘোরাটা স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে৷

টাকাটা নিয়ে সেই পরিচিতের বাড়িতে গেলাম, আমাকে দেখে সে নারী কিছুটা স্তম্ভিত৷ ঘরের দরজা লাগিয়ে দেবে এমন সময় আমার মুখে স্বর ফুটল, বললাম;
-করুনা নিতে আসিনি, আমিও তোমাকে আর পাঁচজনের মত আজ রাতের জন্য খরিদ করতে চাই. . .
বলতে গিয়ে গলাটা কেপে উঠল!

নারী যখন বলেই ফেলেছি, নামও বলে দেই, হউক তার নাম "মৃনালিনী"৷
রাত ৯টা বেজে ২৭ মিনিট৷ পশ্চিমের রুমটাতে আমরা বসে, কেউ কারো সাথে কথা বলছি না, আজ সবকিছু মনে পড়ছে, চাপানো কথাগুলো কালবৈশাখীর মত ধেয়ে আসছে. . .
খানিক বাদে বললাম,
-মৃনা, কেমন আছ? এতদিন কেমন ছিলে?

মৃনালিনীর চোখমুখে আর সেই আগের দুষ্টমি, আগের সেই যৌনতা নেই৷ চাপা সুরে মৃনালিনী বলতে লাগলো,
-অনেকদিন হলো তোমাকে দেখিনি, এইতো তোমাকে শেষ করতে গিয়ে আজ নিজেই শেষ হয়ে আছি, বাকীটা নিজ চক্ষে দেখতেছো৷ তোমাকে মিথ্যে মামলায় জেলে পাঠালাম, কিছুদিন গড়াতেই নানু ভাল চাকুরীজিবি ছেলে দেখে আমার বিয়ে দিল, ভালই ছিলাম প্রথম দুই বছর, এরপর ও কোথাকার একমেয়ের পাল্লাই পড়ল৷ দিনরাত ঐ মেয়ের পিছনে টাকা উড়াতো, নেশা করে ঘরে ফিরতো৷ হঠাৎ একদিন ঐ মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে উঠালো, তখন আমার পেটে ওর দুই মাসের বাচ্চা৷ কি আর করার ছিল, নিজের হাতে স্বামীর বাসর সাজিয়ে দিলাম অন্য নারীর জন্য৷ এরপর আর কি, কাজের লোকের মত খাটাখাটনি করেও সেখানে টিকতে পারলাম না৷ শত নির্জাতন সহ্য করতে না পেরে নানুর কাছে ফিরে আসলাম, পেটে পাঁচ মাসের বাচ্চা৷ কিছুদিনের মধ্যই অসুস্থ হয়ে পড়লাম, বাচ্চাটাকে বাঁচানো গেল না৷ তারপর আর স্বামীর কাছে যাইনি, থেকে গেলাম৷

কথাগুলো মৃনালিনী যতটা সহজভাবে বলছিল ততটা সহজ না৷ আমি জানি, ও ভেতরে ভেতরে কতটা কষ্ট পাচ্ছিল৷ আমি ওর চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়া দুঃখগুলো অনুধাবন করছিলাম, ও বলেই চলছিল. . .
-আমার জন্য টেনশনে বেহাল অবস্থায় নানু আমাকে ছেড়ে ওপারে পাড়ি জমালো, টানাপোড়ার সংসার থেকে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মা আমার নানুর কাছে আসমানে চলে গেল৷ আমি হয়ে গেলাম চির একা৷ যে আমি একাকিত্ব সহ্য করতে পারতাম না সেই আমিই হলাম চির একা৷ মাঝে মাঝে চন্দন, অন্তুদের ফোন করতাম, ওরা ততদিনে ব্যস্ত জীবনে, ওদের যতদিন আমার প্রতি চাহিদা ছিল ততদিন আমার সাথে যোগাযোগ রেখেছিল৷

আমি শুনছিলাম আর অবাক হচ্ছিলাম, হয়তো এটা ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী হলে ওর মুখটা আমার অপ্রশস্ত বুকে চেপে ধরে খুব কাঁদতাম৷ কিন্তু এতদিনে সে কান্না শুকিয়ে গেছে, চাইলেও কাঁদতে পারি না, নিরবে শুনে যাচ্ছি. . .
-সবকিছুকে মেনে নিতে পারলেও নিজের বাচার সামান্য চাহিদার যোগান দিতে পারছিলাম না৷ তাই একদিন যে দেহ নিজের আনন্দের জন্য বিনা পয়সায় বিলিয়েছি সেই দেহ বাধ্য হয়ে পয়সায় বিলাতে শুরু করলাম৷ প্রথম প্রথম অনেকেই আসতো, যারা একবার আসতো তারা বার বার আসতো, আমাকে খুবলে খেত৷ তুমি রাগে, ঘৃনায় আমাকে পতিতা বলতে, আর ভাগ্য আমাকে সত্যিই পতিতা বানিয়েছিল৷ বয়সের ছাপ যত বাড়ছে ততই লোকের সমাগম কমে যাচ্ছে, আমিতো আর এখন সেই উনিশে নয়৷

আমার মনে হচ্ছে আমি কোন ঘোরের মধ্যে আছি, ওর কথায় আমার চমক ভাঙল. . .
-এই দেখ, আমি গল্প করেই যাচ্ছি৷ তুমিও তো আর সবার মতই আমাকে খরিদ করেছ, আমার গল্প শুনতে থাকলে তোমার পয়সা বিফলে যাবে!

আমার কিছু বলার ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আমি ঘাবড়ে গেছি ভেবে আমাকে জিজ্ঞাস করল. . .
-তারপর, তোমার কি খবর?

আমি খানিকটা হচকিয়ে নিরবে বলতে থাকলাম. . .
-ভবঘুরে জীবনে বিয়েটা করা হয়ে ওঠেনি৷ তোমরা জেলে পাঠালে, দুইমাস সেখানে ছিলাম৷ জেল থেকে বেরিয়ে সব কিছু কেমন বিস্বাদ লাগে, পড়ালেখাতো সেই কবেই শিকায় তুলেছিলাম৷ পরিবারে এতদিনেও মুখ দেখায়নি, কোনমতে মাস্টার্সটা কমপ্লিট করে অনেকদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি৷ শেষমেষ গতবছর একটা হাইস্কুলে ঠায় হলো, নিজের বেখেয়ালিপনার জন্য ভাগ্য সেখানেও টিকলো না. . .
এইতো. . . ঘুরিফিরি, যেখানে রাত সেখানেই কাত টাইপের!

বলতে বলতে আমি মৃনালীনির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম, মনে হলো সেই উনিশে মৃনা আমার সামনে৷ আমার ঘোর কাটাতে মৃনালীনি আমাকে জিজ্ঞাস করল,
-চা খাবা?

চায়ের কাপ হাতে মুখোমুখি কেটে গেল অনেক সময়, ততক্ষনে ফজরের আজান পড়েছে. . .
প্রকৃতির নিরাবতা ভাঙতে শুরু করেছে, বুঝলাম আমার নিরাবতাও ভেঙেছে!
মনে হলো বলেই ফেলি, মৃনা কি-ই বা চেয়েছিলাম তোমার কাছে? তোমাকে ভালবাসতে চাইনি, তুমি বাসালে, ভালবাসলাম! চেয়েছিলাম তোমার ভেতর গড়া নোংরামীগুলো দূর হউক, তোমার দেহ-মন সবার না হয়ে আমার হউক৷ তুমি সেদিন যৌবনের বড়াইয়ে নিজেকে বিলিয়ে বেড়িয়েছ, বন্ধু-বান্ধবের সাথেও নিজের শরীর নিয়ে খেলতে দ্বিধাবোধ করোনি, এগুলোকেই জীবন মনে করেছ৷ আমি তোমাকে যখন বাধা দিলাম আমাকে তেয়াক্কা করলে না, যখন মানতে বাধ্য করতে চেষ্টা করলাম তখন আমার সাথে গড়া ভালবাসার সম্পর্ক নষ্ট করলে৷ যখন জোরপুর্বক তোমাকে নোংরামী থেকে দুরে থাকতে বললাম তখন কিছু মানুষের সমর্থনে আমার সাথে সবচেয়ে বড় দুর্ব্যবহার করলে, লোকজনের উসকানিতে পরিবারকে মিথ্যা বুঝিয়ে মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলে পাঠালে!
আজ কই সেই কামনায় ভরা বন্ধুগুলো?
আজ তোমার সেই ভরা যৌবনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে, চেহারার লাবন্যতা কমে এসেছে, কামনায় ভরা বন্ধুগুলো দুর থেকে দুরে সরে গেছে, তুমি একা হয়েছ৷ কোথায় তোমার সেই যৌবনের অহংকার?
সবই কন্ঠনালী পর্যন্ত এসে ফিরে যাচ্ছে৷ তোমার দেওয়া ব্যাথা অপেক্ষা তোমার পাওয়া পরিনতি আমাকে নিরব করে তুলছে৷

খানিক চুপ থেকে নিরবে উঠে দাড়ালাম, তোমার কাধ থেকে শাড়ির আচলটা নামালাম৷ তোমার বুকের খাজে নাক রেখে সেই উনিশে ঘ্রান নিতে চেষ্টা করলাম, অতঃপর ঠোট ছুয়ে দিলাম৷ আসার আগে তিনটা মোড়ানো এক'শ টাকার নোট হাতে গুজে দিয়ে আসলাম. . .
ভাবলাম, মৃনা'র বুকের সেই ঘ্রান এখন আর আমাকে আকৃষ্ট করে না!

তখন প্রায় ভোর, মৃনালিনী'র বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলাম! ব্যাস্ত মানুষগুলো কাজের তাগিদে বের হয়েছে, পাখিদের কিচিরমিচির আমাকে ভাল লাগাচ্ছে না৷ আমি মৃনালীনিকে ভাবছি, মানুষ কি সত্যিই তার কর্মফল কিছুটা দুনিয়াতে পায়? আমি কি পারি না সব ভুলে মৃনালীনিকে গ্রহন করতে? সমাজ কি তা মেনে নেবে? আবার ভাবছি, কোথাকার সমাজ! ওকে নিয়ে এমন কোথাও চলে যাব যেখানে সমাজ বলে কিছু নেই৷ কিন্তু. . .

বুকের ভেতর পেচানো গোখরার মত ভালবাসা জেগে উঠেছে, আমাকে দংশন করছে, বিষ ঢেলে দিচ্ছে. . .
(সংক্ষেপিত)

লেখাঃ ঘাসফড়িং

বুধবার, ২০ মে, ২০১৫

ফেসবুক প্রেম

ফেসবুকে শুধু ছবি দেখে আর চ্যাটিং করে ছেলে মেয়ে প্রেমে পড়ে কেন?

- অজানার প্রতি সবার একটা আকর্ষণ থাকে। এই আকর্ষণ থেকেই প্রেম হয়।

- সবাই আশা করে তার প্রেমিক বা প্রেমিকা রাজকুমার বা রাজকুমারী হবে। ফেসবুক এমন একটা জায়গা যেখানে সহজেই রাজকুমার আর রাজকুমারী সাজা যায়৷

- ফেসবুক প্রেমের সফল কারিগর হলো ফটোশপ। এই একটা সফ্টওয়্যার ই 80% কাজ করে প্রেমের ক্ষেত্রে৷

- স্মার্টনেস। বাস্তবে স্মার্ট হওয়া যত সহজ তার চেয়ে 90% বেশী সহজ ফেসবুকে স্মার্ট হওয়া। তাই প্রেম সংগঠিত হয়।

- সাহসী পুরুষ বা মহিয়সী নারীদের সবাই পছন্দ করে। আর ফেসবুকে এই চরিত্রের অধিকারী হওয়া খুবই সহজ। তাই প্রেম হয়।

- ইমোশন। প্রেমের প্রথম কথাই হলো ইমোশন থাকতে হবে। ফেসবুকে বাস্তবের চেয়ে বেশী পরিমাণ ইমোশনাল হওয়া যায়। কেউ কেউ নেট থেকে কাটা হাত, পা এর ছবি ডাউনলোড করে প্রেমিক বা প্রেমিকার ইনবক্সে সেন্ড করে। ইমোশনে গদগদ হয়ে প্রেমে পড়ে যায়৷

-পার্সোনালিটি। ফেসবুকে বাস্তবের চেয়ে সহজেই হাই পার্সোনালিটি সম্পন্ন ব্যক্তি হওয়া যায়। তাই প্রেমও খুব সহজ৷

- লুলামি। লুলামি অনেক মেয়েরই পছন্দ। তাই প্রেম হয়৷

- অবশেষে হিজরা আইডি। ফেসবুক প্রেম 50% সফল হয় মেয়ে নামধারী কিছু হিজরা আইডির জন্য।

বিঃদ্রঃ এতো প্রেমের মাঝেও মাত্র 0.99%সফল হয়। বাকি 99.01% নষ্ট হয়ে যায়। 

কেমন আছেন?

চোখের সামনে ঘটা অনেক খবরই আমাদের জানা হয়না! জানা হয়না ঘটনার পিছনের ঘটনা! চোখের সামনের হাসিখুশি মানুষগুলোকেও মাঝেমধ্যে চেনা হয় না!

হুট করে মন খারাপ হওয়া ছেলেটা জানে না তার মন খারাপের উপযুক্ত কারণ! জীবনে প্রচন্ড রকমের সফল হওয়া মানুষটাও মাঝেমধ্যে হুট করে হওয়া মন খারাপের কারণ জানে না!

"কেমন আছেন? " প্রশ্নটি কিছু মানুষের কাছে কঠিন প্রশ্ন! এই প্রশ্নের উত্তরটা তারা খুব সহজেই, প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে, মানিব্যাগ শুন্য নিয়ে দিয়ে দিচ্ছে মিথ্যা উত্তর! "জ্বী ভালো আছি! "

আড্ডার ফাঁকে চুপ থাকা ছেলেটার কষ্ট করে হাসা, আড্ডা দেওয়া, হুট করে শুয়ে পড়ে আকাশ দেখার কারণ জানা হয়না! আকাশ দেখতে দেখতে প্লেলিস্টের স্যাড সঙে ডুবে যাওয়া ছেলেটার বাস্তব ডুবে যাওয়ার কারণ জানা হয়না কখনোই!

হুট করে প্রিয় মানুষটাকে হারানো ছেলেটা বারংবার কল্পনায় আবদ্ধ হয়ে জীবনের বড় একটা কষ্টকে সঙ্গে নিয়েই আনন্দে হারিয়ে যাচ্ছে! কাউকে না জানিয়ে চোখের সামনে হাসিমুখে ঘুরপাক খাচ্ছে অবলীলায়! আড়ালে অনুভব করছে কাওকে! কথা বলছে, হাসছে! কাওকে বুঝতে দিচ্ছে না, তার জীবনের ও একটা কষ্টকর অধ্যায় আছে!!

রাতের শান্ত রাস্তায় হেটে চলা, ছেলেটার লুকানো অভ্যাস! আড়াল করা অভ্যাসটা কাছের বন্ধুগুলোও জানে না! বা অভ্যাস করে ছাদে যাওয়া! বাড়ির মালিক না জানলেও ছাদ প্রিয় ব্যক্তিটির লুকিয়ে ছাদে যাওয়া অভ্যাসটা আড়ালে এখনও বিদ্যমান!

দিনের কর্মব্যস্ততা কিছু মানুষকে ঘুম পাড়ালেও কিছু মানুষের অভ্যাসই জেগে থাকা! রাতকে পাহারা দেওয়া! রাতের অনুভূতি উপভোগ করা! আব্বা- আম্মা, ছেলের বারোটার পর ঘুমিয়ে যাওয়ার কথা জানলেও ছেলের চোখ খোলা দেহটা পড়ে থাকে ঘোরের এক কোনাতে!

"রাত জাগা অভ্যাস" করা ছেলেটা কেন রাত জাগে! খুব কাছের মানুষটাও এর কারণ জানে না!

সর্বদা হাসিখুশি, জোকার, সর্বদাই হাসিয়ে যাওয়া ছেলেটার হাসানোটা দেখলেও তাদের কষ্টের খবর খুব একটা কেউ রাখে না! তাদের আড়ালের ছটফট করাটা আড়ালে, নিঃশব্দেই পড়ে রয়!

"চাপা স্বভাবের মানুষদের উপরওয়ালা কোন একটা দিক থেকে প্রচন্ড রকমের শক্তিশালী একটা গুন দিয়েছেন! কষ্ট আড়াল করার গুন! কষ্টকে আড়াল করে এগিয়ে চলার গুন!

"অলওয়েজ স্মাইল" বলা মানুষটার কাছেও মাঝেমধ্যে "কেমন আছি?" প্রশ্নটা আসলেই খুব কঠিন লাগে!

আর এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ সময় অপরপ্রান্ত থেকে মিথ্যা উত্তর আসে!!

জ্বী, আমি ভালো আছি!!

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫

ফিরে আসা হয় যেন

বর্তমানে আত্মহত্যার হার বেড়েছে অনেকবেশী। বিশ্বে ৩৮ তম এবং এশিয়া মহাদেশে দশম স্থানে
আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাম বাংলাদেশ। আপনারা ভালোই জানেন পৃথিবী জটিল হচ্ছে, সেইসাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রা জটিল হবার ফলে সম্পর্ক ও একাকীত্ব... সবমিলিয়ে সৃষ্টি করছে অপরিমেয় মানসিক শূণ্যতা। কিন্তু যত শূণ্যতাই হোক আমাদের ইচ্ছাশক্তিই পারে আমাদের আত্মহত্যার মতন নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে।
শুনেছি আত্মহত্যা করার সময় কোনকিছু চিন্তার অবকাশ থাকেনা,তবে একেবারেই কি চিন্তার অবকাশ থাকেনা? নাকি শুধু না পাওয়াগুলোই শেষবারের মতন আবারও স্মরণ করা হয়! অনেকেই তো আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে ফিরে আসেন পজিটিভ চিন্তার উদয়রেখার কারণেই। আত্মহত্যার আগ মূহুর্তে কেউ একটিবারও যদি নিজের মায়ের অথবা নিজের সন্তানের মুখটা মনে করে,তবে অন্তত একবার হলেও তার বাঁচতে ইচ্ছে হবে। আত্মহত্যা তবুও করবেন? আপনার চোখে স্বপ্ন নেই বলে? বিনা দোষে কালো রাজনীতির জন্য অগ্নিদগ্ধ হওয়া পরিবারটির সন্তান যখন নিজের মা বাবাকে শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে দেখে তার চোখেও কোনো স্বপ্ন থাকেনা! আপনার অবস্থা যদি তার মত হয় তবুও বলি বিশ্বাস রাখুন... একদিন আপনি স্বপ্ন দেখবেন যেদিন আপনার কাছে জীবন মানে হবে সব অপূর্নতাকে মেনে নিয়ে বাঁচতে শেখা। মায়ের চেয়ে বড় মায়াবতী যেমন পৃথিবীতে আর নেই,তেমনি সন্তানের মাঝে নিজেকে ফিরে পাবার মতন অনুভূতিও পৃথিবীতে একটাই!

যদি বলেন আপনার আপন কেউই নেই মা ও নেই সন্তানও নেই ভালোবাসার মানুষটিও নেই প্রিয় পিতার ছায়াও নেই তবুও নিজেকে হত্যা করার আগে মনে রাখবেন মা'কে অসহ্য কষ্ট দিয়ে তার গর্ভ থেকে বীরদর্পে আপনার বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই আজকের স্বেচ্ছা মৃত্যুকে আলিঙ্গন হতে পারেনা! মা'কে হারিয়েছেন? তাহলে শুনে রাখুন এই পৃথিবীর প্রতিও আপনার দায়িত্ব অনেক, কোনো ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করাটা স্রেফ সাময়িক আবেগগত বোকামি। যেই পৃথিবীর আলো হাওয়ায়-স্নেহছায়ায় বড় হয়েছেন তার ঋণ চাইলেই শোধ করতে পারবেন সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার দ্বারা। আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া, আপনি বেঁচে থাকলেও আপনার দ্বারা কিচ্ছুটি হবেনা এটা বলবেননা বরং একটা আহত শালিককে খাঁচা থেকে মুক্ত করার মাঝেও আপনি পৃথিবীর ঋণ শোধে অংশ নিতে পারেন।অনেক কাজ বাকি... যতই ব্যর্থ হন ফুটপাতের মাঝখানে পড়ে থাকা কাঁচের টুকরোটা পথ চলার সময় পা দিয়ে সরিয়ে ফেলে হলেও আপনি কোনো অন্ধের পায়ের অসহ্য যন্ত্রণাময় রক্ত রুখতে পারেন। এতোটুকুর মাঝেও আপনার অনেক সার্থকতা,হতে পারে এটাকে অনেকেই সার্থকতা বলবেননা, কিন্তু আপনি জানেন আমি জানি মনুষ্যত্ত্ব জানে একটা মৃতপ্রায় গাছকে পানি দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার মাঝেও মানুষ বাঁচতে পারে যদি চোখ মেলে একবার তাকায় আত্মহত্যা নামক কালশিটে পড়া নীলাভ চিন্তাটাকে একপাশে রেখে, অতশত নাইবা মানলেন... অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে হতাশায় আত্মহার হারও অনেক, এক্ষেত্রে ভেবে দেখেনতো পতিতাপাড়ায় জোরপূর্বক রাখা মেয়েগুলোর অর্থনৈতিক দৈন্যতা নেই কিন্তু প্রতিমূহুর্ত ধর্ষিতা হবার জীবন তাদের... তাহলে তাদের চেয়েও কি খারাপ আপনার জীবন?

আমি জানি আপনারা বলবেন বড় বড় কথা বলা সহজ হলেও বাস্তব অনুভূতি বা অনুভূতিহীনতা অনেক কঠিন। কিন্তু অনুভূতিহীনতাও একটি অনুভূতিরই নাম! ভালোবাসুন,ভালোবাসার মাঝে বাঁচুন। ভালোবাসা হতে পারে কলমের সাথেও। ভালোবাসুন আপনার পাশের মানুষটিকেও। বেঁচে থাকতে সাহস লাগে,সাহসিকতার সূত্রপাত ঘটুক আপনার আমার এবং প্রতিটি ব্যক্তির আত্মা হতে...
আত্মহত্যা = আত্মবিকৃতি = সৃষ্টিকে অপমান = পৃথিবীর সাথে কৃতজ্ঞহীনতার নামান্তর!

-নওশীন শিকদার

বেকার জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলি

আমি সব সময় দোয়া করি কেউ যেনো বেকার জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলি না অনুভব করে।

এককালে আমিও বেকার ছিলাম, কি যে দিন গেছে তা আমি আর আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কতটা অসহায়ত্বের ভিতর দিন কাটিয়েছি তার হিসাব কেউ রাখে নি। একে তো বেকার জীবনের চাবুকের আঘাত তার উপর সাত বছরের আস্ত একটা প্রেমের কষ্ট।

একেকটা রাত যেনো আমার জন্য বিভেষিকাময় ছিলো। একেকটা নির্ঘুম রাতের ঠ্যালা যে কতখানি তা কিভাবে আমি বুঝিয়ে বললো ?? সেই ভাষাও আমার জানা নেই।

মা বাবা বলে কী পড়াশুনা করলি যে চাকরী জুটাতে পারিস না, আত্নীয় স্বজন বলে ওমুকের ছেলে এই হইছে অমুকের ছেলে ঐ হইছে তোরা কি করিস ??? পকেটে টাকা নেই মনে শান্তি নেই । উফ সেই দিনগুলি…… ভাবা যায় না।

চাকরীর আবেদন করতে গেলে লাগতো গাদা গাদা টাকা। বাবা বলতো লেখাপড়ার পিছনে একগাদা টাকা তখরচা করে আবার চাকরীর আবেদন করতে গাদা টাকা দিতে হচ্ছে।

তবে সব থেকে বেশি রাগ হতো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকরীদাতা/চাকরীর বিজ্ঞাপন দাতাদের একটি অপশন দেখলে। বলা হতো প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক চারিত্রিক সনদ পত্রের কথা।

একটা নমুনা দিলামঃ

চারিত্রিক সনদ পত্র

প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত

এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, নামঃ অমুক পিতার নামঃ তমুক মাতার নামঃ সেমুক গ্রামঃ ------- পোষ্টঃ --------- থানাঃ ------- জেলাঃ---------- সে আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র ভাল। আমার জানা মতে সে কোন প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত না।

আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।

এবার বলেন এমন একটা সনদ নিতে হবে এমন লোকের কাছ থেকে যে জানেই না আমি আসলে কে? আমার স্বভাব চরিত্রই বা কেমন। আবার দেখেন সব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।

এগুলা কেনো দরকার ?? আমি এটাই বুঝি না।

আচ্ছা বাবা আমি যদি ডুপ্লিকেট কাগজ ফটোকপি করে চাকরীর আবেদন করি এবং আমি যদি ধরা পড়ি তবে তারা দরকারে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। দরকারে আমাকে জেল জরিমানা করবে। আমার কোন আপত্তি নেই। তবুও কেনো এই সত্যায়িত করার ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।

অনেকেই তো নকল সীল প্যাড বানিয়ে আরামসে সনদ সত্যায়িত করে। আর এ বিষয়টা সবারই জানা কথা। আজ যে লোকটা প্রথম শ্রেনীর অফিসার হইছে সেই ব্যাটাও জানে হয়তো তাদের ভিতরেও কেউ কেউ একই পন্থায় সত্যায়িতও করেছে।

এমনিতেই ছাত্ররা / বেকাররা নানান ঝামেলায় থাকে তার উপর সত্যায়িত আর চারিত্রিক সনদপত্র জোগাড় করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। অনেক শয়তান মার্কা অফিসার আছে যারা মুখের উপর বলে দেয় আমি সত্যায়িত করি না। আমরা তখন আরেক জনের কাছে দৌড়াই সত্যায়িত করার জন্য।

মানলাম অনেকের মামা খালু আছে অনেকের সত্যায়িত করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আবার অনেকের কাছেই এটা ব্যাপার। অনেক লোয়ার ফ্যামিলীর ছেলে/মেয়ে আছে যাদেরকে অনেক অফিসার পাত্তাই দেয় না । অথবা তারা দিশা পায় না সত্যায়িত করার জন্য কার কাছে যাবে। আবার অনেকেই আছে যারা শুনলো অমুক জায়গায় আবেদন করা যাবে চাকরী কিংবা ভর্তির জন্য। কিন্তু দেখা যাবে সময় সংক্ষেপ তখন সত্যায়িত করবে নাকি আবেদনপত্র জমা দিবে।

উফ এর একটা বিহীত হওয়ার প্রয়োজন। এর একটা সহজ সমাধান হওয়া উচিৎ।

আমি শিক্ষা কষ্ট করে শিক্ষা অর্জন করে সনদ পাইলাম আবার চাকরী কিংবা উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার জন্য ভর্তির আগে সত্যায়িত করতে হবে। ভাবলেও তো কেমন লাগে।

ঐ সব ব্রিটিশ প্রিয়ডের নিয়ম কানুন যে কবে দেশ থেকে যাবে আল্লাহয় ভালো জানেন……

অপেক্ষা কেবল একটা খুঁদে বার্তার

-কি ব্যপার? ফোন ওয়েটিং ছিলো কেন? (ছেলে)
-আমি কারও সাথে কথা কথা বলতে পারি না? (মেয়ে)
-হুম, সেটাই তো বলছি! কার সাথে কথা বলছিলে?
-এক বন্ধুর সাথে!
-ও বন্ধু! কেমন বন্ধু?
-কলেজ বন্ধু।
-বন্ধুর সাথে আধাঘন্টা ধরে কথা?
-কেন বলা যাবে না?
-বিশ্বাস হচ্ছে না!
-তুমি আমাকে আর আগের মতো বিশ্বাস করো না!
-কিভাবে করি বলো? রাত ১২টায় বন্ধুর সাথে আধাঘন্টা ধরে কথা! বিশ্বাস!
-সংবিধানে কি লেখা আছে রাতে বন্ধুর সাথে কথা বলা যাবে না?
-ওকে সমস্যা নাই, বলো। বেশি করে বলো। নাম কি বন্ধুর?
-রিয়া।
-তাহলে যে বন্ধু বললা?
-দেখলাম তোমার বিশ্বাসটা। কতোটা বিশ্বাস করো !

বলে রাগ করে মেয়েটি ফোনটা কেটে দিলো।

ছেলেদের বন্ধু বলা যায়, মেয়েদেরও যায় তবে আগে এই কথাটি বললে হইতো ছেলেটিকে মেয়েটির মেসেজের জন্য অপেক্ষা করতে হতো না!কারণ এর আগেও মেয়েটি রাগ করেছে এবং পরোক্ষনে একটি মেসেজ ও করতো।
আজ কেন পাঠাচ্ছে না! একটাই তো মেসেজ নাকি ব্রেকআপ হয়ে গেলো!
ভীষণ অস্থির হচ্ছে ছেলেটি মেসেজের জন্য!!

ছেলেটি এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভীষণ ব্যস্ত। সে ফোন দিচ্ছে কিন্তু মেয়েটা রিসিভ করছে না!

আবার অপেক্ষা। বিশ্বাসের থেকে অপেক্ষা। মেয়েটি রাগ করলেই মেসেজ করে।
কখন করবে মেসেজ? ভাঙবে রাগ!

এইসব ভাবতে ভাবতেই ফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে উঠলো।
ইনবক্স খোলার সাথে সাথেই লেখা দেখলো যেখানে লেখা ছিলো,

Big bonus! ajker moddhe 3takar kotha bolle pea jaben sathe sathe 1 taka bonus. sorbocco 12 taka bonus paben 1 dine.

এই দেখে ছেলেটির মনের অবস্থা কেমন হয়েছিলো বোঝাতে পারবো না!
যাদের সাথে এমনটা হয়েছে তারা বেশ ভালো বুঝতে পারবে।