বুধবার, ২০ মে, ২০১৫

ফেসবুক প্রেম

ফেসবুকে শুধু ছবি দেখে আর চ্যাটিং করে ছেলে মেয়ে প্রেমে পড়ে কেন?

- অজানার প্রতি সবার একটা আকর্ষণ থাকে। এই আকর্ষণ থেকেই প্রেম হয়।

- সবাই আশা করে তার প্রেমিক বা প্রেমিকা রাজকুমার বা রাজকুমারী হবে। ফেসবুক এমন একটা জায়গা যেখানে সহজেই রাজকুমার আর রাজকুমারী সাজা যায়৷

- ফেসবুক প্রেমের সফল কারিগর হলো ফটোশপ। এই একটা সফ্টওয়্যার ই 80% কাজ করে প্রেমের ক্ষেত্রে৷

- স্মার্টনেস। বাস্তবে স্মার্ট হওয়া যত সহজ তার চেয়ে 90% বেশী সহজ ফেসবুকে স্মার্ট হওয়া। তাই প্রেম সংগঠিত হয়।

- সাহসী পুরুষ বা মহিয়সী নারীদের সবাই পছন্দ করে। আর ফেসবুকে এই চরিত্রের অধিকারী হওয়া খুবই সহজ। তাই প্রেম হয়।

- ইমোশন। প্রেমের প্রথম কথাই হলো ইমোশন থাকতে হবে। ফেসবুকে বাস্তবের চেয়ে বেশী পরিমাণ ইমোশনাল হওয়া যায়। কেউ কেউ নেট থেকে কাটা হাত, পা এর ছবি ডাউনলোড করে প্রেমিক বা প্রেমিকার ইনবক্সে সেন্ড করে। ইমোশনে গদগদ হয়ে প্রেমে পড়ে যায়৷

-পার্সোনালিটি। ফেসবুকে বাস্তবের চেয়ে সহজেই হাই পার্সোনালিটি সম্পন্ন ব্যক্তি হওয়া যায়। তাই প্রেমও খুব সহজ৷

- লুলামি। লুলামি অনেক মেয়েরই পছন্দ। তাই প্রেম হয়৷

- অবশেষে হিজরা আইডি। ফেসবুক প্রেম 50% সফল হয় মেয়ে নামধারী কিছু হিজরা আইডির জন্য।

বিঃদ্রঃ এতো প্রেমের মাঝেও মাত্র 0.99%সফল হয়। বাকি 99.01% নষ্ট হয়ে যায়। 

কেমন আছেন?

চোখের সামনে ঘটা অনেক খবরই আমাদের জানা হয়না! জানা হয়না ঘটনার পিছনের ঘটনা! চোখের সামনের হাসিখুশি মানুষগুলোকেও মাঝেমধ্যে চেনা হয় না!

হুট করে মন খারাপ হওয়া ছেলেটা জানে না তার মন খারাপের উপযুক্ত কারণ! জীবনে প্রচন্ড রকমের সফল হওয়া মানুষটাও মাঝেমধ্যে হুট করে হওয়া মন খারাপের কারণ জানে না!

"কেমন আছেন? " প্রশ্নটি কিছু মানুষের কাছে কঠিন প্রশ্ন! এই প্রশ্নের উত্তরটা তারা খুব সহজেই, প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে, মানিব্যাগ শুন্য নিয়ে দিয়ে দিচ্ছে মিথ্যা উত্তর! "জ্বী ভালো আছি! "

আড্ডার ফাঁকে চুপ থাকা ছেলেটার কষ্ট করে হাসা, আড্ডা দেওয়া, হুট করে শুয়ে পড়ে আকাশ দেখার কারণ জানা হয়না! আকাশ দেখতে দেখতে প্লেলিস্টের স্যাড সঙে ডুবে যাওয়া ছেলেটার বাস্তব ডুবে যাওয়ার কারণ জানা হয়না কখনোই!

হুট করে প্রিয় মানুষটাকে হারানো ছেলেটা বারংবার কল্পনায় আবদ্ধ হয়ে জীবনের বড় একটা কষ্টকে সঙ্গে নিয়েই আনন্দে হারিয়ে যাচ্ছে! কাউকে না জানিয়ে চোখের সামনে হাসিমুখে ঘুরপাক খাচ্ছে অবলীলায়! আড়ালে অনুভব করছে কাওকে! কথা বলছে, হাসছে! কাওকে বুঝতে দিচ্ছে না, তার জীবনের ও একটা কষ্টকর অধ্যায় আছে!!

রাতের শান্ত রাস্তায় হেটে চলা, ছেলেটার লুকানো অভ্যাস! আড়াল করা অভ্যাসটা কাছের বন্ধুগুলোও জানে না! বা অভ্যাস করে ছাদে যাওয়া! বাড়ির মালিক না জানলেও ছাদ প্রিয় ব্যক্তিটির লুকিয়ে ছাদে যাওয়া অভ্যাসটা আড়ালে এখনও বিদ্যমান!

দিনের কর্মব্যস্ততা কিছু মানুষকে ঘুম পাড়ালেও কিছু মানুষের অভ্যাসই জেগে থাকা! রাতকে পাহারা দেওয়া! রাতের অনুভূতি উপভোগ করা! আব্বা- আম্মা, ছেলের বারোটার পর ঘুমিয়ে যাওয়ার কথা জানলেও ছেলের চোখ খোলা দেহটা পড়ে থাকে ঘোরের এক কোনাতে!

"রাত জাগা অভ্যাস" করা ছেলেটা কেন রাত জাগে! খুব কাছের মানুষটাও এর কারণ জানে না!

সর্বদা হাসিখুশি, জোকার, সর্বদাই হাসিয়ে যাওয়া ছেলেটার হাসানোটা দেখলেও তাদের কষ্টের খবর খুব একটা কেউ রাখে না! তাদের আড়ালের ছটফট করাটা আড়ালে, নিঃশব্দেই পড়ে রয়!

"চাপা স্বভাবের মানুষদের উপরওয়ালা কোন একটা দিক থেকে প্রচন্ড রকমের শক্তিশালী একটা গুন দিয়েছেন! কষ্ট আড়াল করার গুন! কষ্টকে আড়াল করে এগিয়ে চলার গুন!

"অলওয়েজ স্মাইল" বলা মানুষটার কাছেও মাঝেমধ্যে "কেমন আছি?" প্রশ্নটা আসলেই খুব কঠিন লাগে!

আর এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ সময় অপরপ্রান্ত থেকে মিথ্যা উত্তর আসে!!

জ্বী, আমি ভালো আছি!!

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫

ফিরে আসা হয় যেন

বর্তমানে আত্মহত্যার হার বেড়েছে অনেকবেশী। বিশ্বে ৩৮ তম এবং এশিয়া মহাদেশে দশম স্থানে
আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাম বাংলাদেশ। আপনারা ভালোই জানেন পৃথিবী জটিল হচ্ছে, সেইসাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রা জটিল হবার ফলে সম্পর্ক ও একাকীত্ব... সবমিলিয়ে সৃষ্টি করছে অপরিমেয় মানসিক শূণ্যতা। কিন্তু যত শূণ্যতাই হোক আমাদের ইচ্ছাশক্তিই পারে আমাদের আত্মহত্যার মতন নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে।
শুনেছি আত্মহত্যা করার সময় কোনকিছু চিন্তার অবকাশ থাকেনা,তবে একেবারেই কি চিন্তার অবকাশ থাকেনা? নাকি শুধু না পাওয়াগুলোই শেষবারের মতন আবারও স্মরণ করা হয়! অনেকেই তো আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে ফিরে আসেন পজিটিভ চিন্তার উদয়রেখার কারণেই। আত্মহত্যার আগ মূহুর্তে কেউ একটিবারও যদি নিজের মায়ের অথবা নিজের সন্তানের মুখটা মনে করে,তবে অন্তত একবার হলেও তার বাঁচতে ইচ্ছে হবে। আত্মহত্যা তবুও করবেন? আপনার চোখে স্বপ্ন নেই বলে? বিনা দোষে কালো রাজনীতির জন্য অগ্নিদগ্ধ হওয়া পরিবারটির সন্তান যখন নিজের মা বাবাকে শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে দেখে তার চোখেও কোনো স্বপ্ন থাকেনা! আপনার অবস্থা যদি তার মত হয় তবুও বলি বিশ্বাস রাখুন... একদিন আপনি স্বপ্ন দেখবেন যেদিন আপনার কাছে জীবন মানে হবে সব অপূর্নতাকে মেনে নিয়ে বাঁচতে শেখা। মায়ের চেয়ে বড় মায়াবতী যেমন পৃথিবীতে আর নেই,তেমনি সন্তানের মাঝে নিজেকে ফিরে পাবার মতন অনুভূতিও পৃথিবীতে একটাই!

যদি বলেন আপনার আপন কেউই নেই মা ও নেই সন্তানও নেই ভালোবাসার মানুষটিও নেই প্রিয় পিতার ছায়াও নেই তবুও নিজেকে হত্যা করার আগে মনে রাখবেন মা'কে অসহ্য কষ্ট দিয়ে তার গর্ভ থেকে বীরদর্পে আপনার বেরিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই আজকের স্বেচ্ছা মৃত্যুকে আলিঙ্গন হতে পারেনা! মা'কে হারিয়েছেন? তাহলে শুনে রাখুন এই পৃথিবীর প্রতিও আপনার দায়িত্ব অনেক, কোনো ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করাটা স্রেফ সাময়িক আবেগগত বোকামি। যেই পৃথিবীর আলো হাওয়ায়-স্নেহছায়ায় বড় হয়েছেন তার ঋণ চাইলেই শোধ করতে পারবেন সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার দ্বারা। আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া, আপনি বেঁচে থাকলেও আপনার দ্বারা কিচ্ছুটি হবেনা এটা বলবেননা বরং একটা আহত শালিককে খাঁচা থেকে মুক্ত করার মাঝেও আপনি পৃথিবীর ঋণ শোধে অংশ নিতে পারেন।অনেক কাজ বাকি... যতই ব্যর্থ হন ফুটপাতের মাঝখানে পড়ে থাকা কাঁচের টুকরোটা পথ চলার সময় পা দিয়ে সরিয়ে ফেলে হলেও আপনি কোনো অন্ধের পায়ের অসহ্য যন্ত্রণাময় রক্ত রুখতে পারেন। এতোটুকুর মাঝেও আপনার অনেক সার্থকতা,হতে পারে এটাকে অনেকেই সার্থকতা বলবেননা, কিন্তু আপনি জানেন আমি জানি মনুষ্যত্ত্ব জানে একটা মৃতপ্রায় গাছকে পানি দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার মাঝেও মানুষ বাঁচতে পারে যদি চোখ মেলে একবার তাকায় আত্মহত্যা নামক কালশিটে পড়া নীলাভ চিন্তাটাকে একপাশে রেখে, অতশত নাইবা মানলেন... অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে হতাশায় আত্মহার হারও অনেক, এক্ষেত্রে ভেবে দেখেনতো পতিতাপাড়ায় জোরপূর্বক রাখা মেয়েগুলোর অর্থনৈতিক দৈন্যতা নেই কিন্তু প্রতিমূহুর্ত ধর্ষিতা হবার জীবন তাদের... তাহলে তাদের চেয়েও কি খারাপ আপনার জীবন?

আমি জানি আপনারা বলবেন বড় বড় কথা বলা সহজ হলেও বাস্তব অনুভূতি বা অনুভূতিহীনতা অনেক কঠিন। কিন্তু অনুভূতিহীনতাও একটি অনুভূতিরই নাম! ভালোবাসুন,ভালোবাসার মাঝে বাঁচুন। ভালোবাসা হতে পারে কলমের সাথেও। ভালোবাসুন আপনার পাশের মানুষটিকেও। বেঁচে থাকতে সাহস লাগে,সাহসিকতার সূত্রপাত ঘটুক আপনার আমার এবং প্রতিটি ব্যক্তির আত্মা হতে...
আত্মহত্যা = আত্মবিকৃতি = সৃষ্টিকে অপমান = পৃথিবীর সাথে কৃতজ্ঞহীনতার নামান্তর!

-নওশীন শিকদার

বেকার জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলি

আমি সব সময় দোয়া করি কেউ যেনো বেকার জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলি না অনুভব করে।

এককালে আমিও বেকার ছিলাম, কি যে দিন গেছে তা আমি আর আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কতটা অসহায়ত্বের ভিতর দিন কাটিয়েছি তার হিসাব কেউ রাখে নি। একে তো বেকার জীবনের চাবুকের আঘাত তার উপর সাত বছরের আস্ত একটা প্রেমের কষ্ট।

একেকটা রাত যেনো আমার জন্য বিভেষিকাময় ছিলো। একেকটা নির্ঘুম রাতের ঠ্যালা যে কতখানি তা কিভাবে আমি বুঝিয়ে বললো ?? সেই ভাষাও আমার জানা নেই।

মা বাবা বলে কী পড়াশুনা করলি যে চাকরী জুটাতে পারিস না, আত্নীয় স্বজন বলে ওমুকের ছেলে এই হইছে অমুকের ছেলে ঐ হইছে তোরা কি করিস ??? পকেটে টাকা নেই মনে শান্তি নেই । উফ সেই দিনগুলি…… ভাবা যায় না।

চাকরীর আবেদন করতে গেলে লাগতো গাদা গাদা টাকা। বাবা বলতো লেখাপড়ার পিছনে একগাদা টাকা তখরচা করে আবার চাকরীর আবেদন করতে গাদা টাকা দিতে হচ্ছে।

তবে সব থেকে বেশি রাগ হতো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাকরীদাতা/চাকরীর বিজ্ঞাপন দাতাদের একটি অপশন দেখলে। বলা হতো প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক চারিত্রিক সনদ পত্রের কথা।

একটা নমুনা দিলামঃ

চারিত্রিক সনদ পত্র

প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত

এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, নামঃ অমুক পিতার নামঃ তমুক মাতার নামঃ সেমুক গ্রামঃ ------- পোষ্টঃ --------- থানাঃ ------- জেলাঃ---------- সে আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র ভাল। আমার জানা মতে সে কোন প্রকার রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত না।

আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।

এবার বলেন এমন একটা সনদ নিতে হবে এমন লোকের কাছ থেকে যে জানেই না আমি আসলে কে? আমার স্বভাব চরিত্রই বা কেমন। আবার দেখেন সব সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।

এগুলা কেনো দরকার ?? আমি এটাই বুঝি না।

আচ্ছা বাবা আমি যদি ডুপ্লিকেট কাগজ ফটোকপি করে চাকরীর আবেদন করি এবং আমি যদি ধরা পড়ি তবে তারা দরকারে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। দরকারে আমাকে জেল জরিমানা করবে। আমার কোন আপত্তি নেই। তবুও কেনো এই সত্যায়িত করার ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়।

অনেকেই তো নকল সীল প্যাড বানিয়ে আরামসে সনদ সত্যায়িত করে। আর এ বিষয়টা সবারই জানা কথা। আজ যে লোকটা প্রথম শ্রেনীর অফিসার হইছে সেই ব্যাটাও জানে হয়তো তাদের ভিতরেও কেউ কেউ একই পন্থায় সত্যায়িতও করেছে।

এমনিতেই ছাত্ররা / বেকাররা নানান ঝামেলায় থাকে তার উপর সত্যায়িত আর চারিত্রিক সনদপত্র জোগাড় করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়। অনেক শয়তান মার্কা অফিসার আছে যারা মুখের উপর বলে দেয় আমি সত্যায়িত করি না। আমরা তখন আরেক জনের কাছে দৌড়াই সত্যায়িত করার জন্য।

মানলাম অনেকের মামা খালু আছে অনেকের সত্যায়িত করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আবার অনেকের কাছেই এটা ব্যাপার। অনেক লোয়ার ফ্যামিলীর ছেলে/মেয়ে আছে যাদেরকে অনেক অফিসার পাত্তাই দেয় না । অথবা তারা দিশা পায় না সত্যায়িত করার জন্য কার কাছে যাবে। আবার অনেকেই আছে যারা শুনলো অমুক জায়গায় আবেদন করা যাবে চাকরী কিংবা ভর্তির জন্য। কিন্তু দেখা যাবে সময় সংক্ষেপ তখন সত্যায়িত করবে নাকি আবেদনপত্র জমা দিবে।

উফ এর একটা বিহীত হওয়ার প্রয়োজন। এর একটা সহজ সমাধান হওয়া উচিৎ।

আমি শিক্ষা কষ্ট করে শিক্ষা অর্জন করে সনদ পাইলাম আবার চাকরী কিংবা উচ্চতর শিক্ষা নেওয়ার জন্য ভর্তির আগে সত্যায়িত করতে হবে। ভাবলেও তো কেমন লাগে।

ঐ সব ব্রিটিশ প্রিয়ডের নিয়ম কানুন যে কবে দেশ থেকে যাবে আল্লাহয় ভালো জানেন……

অপেক্ষা কেবল একটা খুঁদে বার্তার

-কি ব্যপার? ফোন ওয়েটিং ছিলো কেন? (ছেলে)
-আমি কারও সাথে কথা কথা বলতে পারি না? (মেয়ে)
-হুম, সেটাই তো বলছি! কার সাথে কথা বলছিলে?
-এক বন্ধুর সাথে!
-ও বন্ধু! কেমন বন্ধু?
-কলেজ বন্ধু।
-বন্ধুর সাথে আধাঘন্টা ধরে কথা?
-কেন বলা যাবে না?
-বিশ্বাস হচ্ছে না!
-তুমি আমাকে আর আগের মতো বিশ্বাস করো না!
-কিভাবে করি বলো? রাত ১২টায় বন্ধুর সাথে আধাঘন্টা ধরে কথা! বিশ্বাস!
-সংবিধানে কি লেখা আছে রাতে বন্ধুর সাথে কথা বলা যাবে না?
-ওকে সমস্যা নাই, বলো। বেশি করে বলো। নাম কি বন্ধুর?
-রিয়া।
-তাহলে যে বন্ধু বললা?
-দেখলাম তোমার বিশ্বাসটা। কতোটা বিশ্বাস করো !

বলে রাগ করে মেয়েটি ফোনটা কেটে দিলো।

ছেলেদের বন্ধু বলা যায়, মেয়েদেরও যায় তবে আগে এই কথাটি বললে হইতো ছেলেটিকে মেয়েটির মেসেজের জন্য অপেক্ষা করতে হতো না!কারণ এর আগেও মেয়েটি রাগ করেছে এবং পরোক্ষনে একটি মেসেজ ও করতো।
আজ কেন পাঠাচ্ছে না! একটাই তো মেসেজ নাকি ব্রেকআপ হয়ে গেলো!
ভীষণ অস্থির হচ্ছে ছেলেটি মেসেজের জন্য!!

ছেলেটি এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভীষণ ব্যস্ত। সে ফোন দিচ্ছে কিন্তু মেয়েটা রিসিভ করছে না!

আবার অপেক্ষা। বিশ্বাসের থেকে অপেক্ষা। মেয়েটি রাগ করলেই মেসেজ করে।
কখন করবে মেসেজ? ভাঙবে রাগ!

এইসব ভাবতে ভাবতেই ফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে উঠলো।
ইনবক্স খোলার সাথে সাথেই লেখা দেখলো যেখানে লেখা ছিলো,

Big bonus! ajker moddhe 3takar kotha bolle pea jaben sathe sathe 1 taka bonus. sorbocco 12 taka bonus paben 1 dine.

এই দেখে ছেলেটির মনের অবস্থা কেমন হয়েছিলো বোঝাতে পারবো না!
যাদের সাথে এমনটা হয়েছে তারা বেশ ভালো বুঝতে পারবে।

বাবার বৃদ্ধাশ্রম

-বাবা কয়েকটা মাস একটু কষ্ট করতে পারবে না ?
-তোকে বড় করার জন্য সারাজীবনই তো কষ্ট করলাম, কি করতে হবে সেটা বলে ফেল...

-সামনের মাসে এই ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দিতে হবে। গুলশানের দিকে একটা ফ্ল্যাট পেয়েছি কিন্তু সেটা অনেক ছোটো মাত্র তিন রুমের।
-বাহ ভালো হবে তো। এবার আরামসে থাকা যাবে...

-বাবা মাত্র তিন রুমের ফ্ল্যাট। একরুমে আমি আর ও থাকবো আরেকটায় রুমী আর অন্যটা গেস্টরুম... তোমার জন্য রুম ম্যানেজ করতে পারিনি
-ওহ আমি নাহয় গেস্টরুমেই শুয়ে নেবো আর গেস্ট আসলে দাদুভাইয়ের সা...

-কি যে বলো বাবা!! তারচেয়ে আমি বলি কি এই একটা মাস তুমি একটু কষ্ট করো না! অবশ্য কষ্টও হবে না তোমাকে।
-কি বলছিস কিছুই তো বুঝতে পারছি না!

-বাবা উত্তরায় একটা যে নতুন বৃদ্ধাশ্রমটা সেখানে এই একটা মাস কাটিয়ে এসো। রাজার হালে থাকবে। শুধু একটু দূরত্ব এই যা।
-ও!

-তারপরের মাসেই দেখো আরেকটা বাসা নিয়ে নেবো বড় দেখে। তোমার জন্য আলাদা রুম থাকবে।
-না না সেটা কোনো ব্যাপার না।

-তাহলে বাবা এই মাসটা একটু স্যাক্রিফাইস করো না !
-অঁ হ্যাঁ হ্যাঁ কোনো সমস্যা নেই। কবে নিয়ে যাবি বল আমি ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে রাখি গে!

-আজকে বিকেলেই .. চিন্তা করো না আমি দুদিন পর পরই তোমার ব্যাগপত্র সব দিয়ে আসবো। তোমার বৌমাই গুঁছিয়ে দিবে!
-যা ভালো মনে করিস! তুই আরামে থাকলেই আমার শান্তি!

মাস তিনেক পর...
-এখানে কি মাহিন চৌধুরি থাকে ?

বাড়ির দাড়োয়ান সেলিম উল্লাহ খবরের কাগজটা রেখে তাকালো লোকটার দিকে। হলদে হয়ে যাওয়া তিলে পরা সাদা পাঞ্জাবি পাজামা পায়ে ক্ষয়ে যাওয়া রাবারের স্যান্ডেল আর হাতে একটা মলিন কাগজ!

-জ্বি না এই নামে তো কেউ নেই!
-ও এখানেও নেই!

-উনি আপনার কে হন?
-আমার ছেলে! একমাত্র ছেলে। জানেন আমেরিকা থেকে বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে এসেছে। অনেক পড়াশুনা করেছে, এখন ব্যবসা করে নিজের অফিসও আছে...অনেক ভালো ছেলে। সোনার টুকরা মাহি

-তো চাচা আপনি কি হারিয়ে গেছেন ?
-উঁ!

-এটাই কি আপনার ছেলের ঠিকানা ?
-হ্যা এটাই তো দিয়ে বলেছিলো এখানে ও থাকবে কিন্তু জানেন গত এক মাস ধরে প্রায় হাজারখানেক বাসায় নক করেছি খুঁজে পাই নি মাহিকে। ও বলেছিলো দুদিন পর আসবে কিন্তু আজও .....

.....জোড়াতালি দেওয়া চশমাটা খুলে আরিফ সাহেব চোখটা মুছে নিলেন। বুকের বাঁ পাশটা আজ কেমন খালি খালি লাগছে। অনেক হালকা। আকাশের দিকে তাকালেন আরিফ সাহেব, যাবার সময় বোধহয় হয়ে এলো...

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫

একজন চীনা বালকের গল্প

গল্পটা একজন চীনা বালকের।
চীনারা ইংরেজিতে ভীষণ কাঁচা। তো এই চীনা বালক আমেরিকার কোন এক মাল্টিন্যাশ্নাল কোম্পানিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম ভাবে ফেইল করে। তার ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে রীতিমত হাসাহাসি হয়। বেচারা মনে খুব দুঃখ পেলো সেইদিন। কিন্তু জেদও চেপে বসলো।

পরবর্তীকালে এই ছেলেটা হয়েছিল ইংরেজির শিক্ষক। শুধু চীনেই তার ছাত্র রয়েছে ১০ কোটির উপরে। ...

ডেল কার্নেগীকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বক্তা!! তার কাহিনীটা জানা আছে কারো? শুনন তাহলে ...

জীবনে প্রথমবারের মতো ডেল কার্নেগী যখন মঞ্চে উঠে সবার সামনে ভাষণ দিতে শুরু করলেন তখন অডিয়েন্স তার দিকে ডিম ছুড়ে মেরেছিল। সেদিন ২ মিনিটের বেশি মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন নি।

ব্যাপারটা কার্নেগী মেনে নিতে পারেন নি। এরপর থেকে তিনি ভাষণ দেয়ার অনুশীলন শুরু করলেন। যেখানে সেখানে গিয়ে ভাষণ দিতেন। রাতের বেলা নির্জন ল্যাম্প পোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতেন। ফাঁকা হল রুমে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা একা কথা বলে যেতেন। তার পরের গল্পে ডেল কার্নেগীকে আমরা সবাই চিনি৷

জর্জ বারনারড শ কে সর্বকালের সেরা নোবেল রাইটার বলা হয়। তিনি নিয়মিত ২০ পৃষ্ঠা করে লিখতেন। কোন দিন লিখা বাদ পড়লে পরের দিন পুষিয়ে নিতেন ৪০ পৃষ্ঠা লিখে রাখতেন। তার চেষ্টার ফলে তিনি সর্বকালের সেরা নোবেল রাইটার হতে পেরেছেন৷

একবার টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কার করতে তিনি কি পরিমান চেষ্টা করেছিলেন।
এডিসন, বলেছিলেন, আমি প্রায় হাজার তিনেক বার চেষ্টার পর বাতির জন্য একটা উপযুক্ত ফিলামেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

এক বালকের খুব ইচ্ছা হয়েছিল সে বুয়েটে পড়বে। কিন্তু সে অংকেই কাঁচা। খুব কম বোঝে অংক। স্যার কে গিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা বলল। স্যার বললেন ,অংকে যারা ভালো না, তাদের জন্য বুয়েট না।

শুরু হয়ে গেলো ঝড়।

ছেলেটা সারাদিন অংক নিয়ে পড়ে থাকত। অংক প্রথমে বুঝার চেষ্টা করত। না বুঝলে, দেখে দেখে খাতায় লিখতে রাখত। ভুলেও মুখস্ত করে না। বার বার বুঝার চেষ্টা করত। এই চেষ্টা করতে করতেই ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়ে যায় একদিন!!

...আমি দুঃখিত ... যারা বলেন এটা সম্ভব না ,ওটা সম্ভব না, তাদের সাথে একমত হতে পারি না। ...

অসম্ভব হচ্ছে সেটাই যেটাকে আপনি ""অসম্ভব "" করে রেখেছেন ...

দুর্বলতা ঈশ্বর প্রদত্ত !!
কিন্তু দুর্বলতাকে অতিক্রম করার ক্ষমতা প্রতিটা মানুষেরই আছে । পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের মাঝেই ঈশ্বর সফল হওয়ার জন্য ৭০০ কোটি আইটেম রেখে দিয়েছেন । শুধু খুঁজে বের করার অপেক্ষা !!

একটা গল্প দিয়ে শেষ করি ...

ছেলেটাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল এই জন্য যে ,তার স্মৃতি শক্তি অত্যধিক দুর্বল!! এই ছেলেকে দিয়ে জীববিজ্ঞানের মতো vital subject পড়া সম্ভব না। তাকে অন্য বিষয় পড়তে দেয়া হোক যেটা তার জন্য সোজা।
পরবর্তীকালে ইনিই হয়েছিলেন দ্বিপদ নামকরনের জনক!!
বিশ্ব তাকে চেনে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস নামে!!

সোমবার, ১১ মে, ২০১৫

পুরুষের মন পেতে অনেক নারী যে ৭টি বাজে কৌশলের আশ্রয় নেন


প্রেম-ভালোবাসা-বিয়ের ব্যাপার, সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সততার পরিচয় দেয়াটাই সবচাইতে উচিত কাজ। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য যে এই প্রেম-বিয়ের ক্ষেত্রেই বাজে কিছু কৌশলের আশ্রয় নেন অনেক মানুষ। হ্যাঁ, অনেক নারীও কাঙ্খিত পুরুষের মন পেতে এমন সব কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকেন যা আসলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই অনুচিত।

রূপের ফাঁদ:
পুরুষ নারীর রূপের মোহে পড়েন বলেই কিছু নারীরাও এই রূপের ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষের সাথে ছলনা করেন। রূপের মোহে পড়ে পুরুষ হয়তো নারীকে জীবনসঙ্গী করে নেন আর সম্পর্ক হয়ে যাবার পর আবিষ্কার করেন দুজনের মনমানসিকতায় বিস্তর ফারাক। তাই চেহারা নয়, মন আর গুণ থেকেই জীবনসঙ্গী নির্বাচন করুন।

যৌনতার ছলনা:
যৌনতার আহবান বেশিরভাগ পুরুষই এড়াতে পারে না আর এই ব্যাপারটা অনেক নারীই সুযোগ বুঝে ব্যবহার করেন। প্রেম বা বিয়ে করার জন্য শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান। তবে সত্য এটাই যে শারীরিক সম্পর্ক থেকে যে প্রেমের শুরু তার পরিণাম কখনো ভালো হতে পারে না।

মিথ্যা রটনা:
পছন্দের পুরুষের সাথে নিজের নাম জড়িয়ে মিথ্যা রটনা অনেক নারীই নিজেই ছড়িয়ে থাকেন। আর এই মিথ্যা রটনা থেকে দুজনে কাছাকাছি হয়ে যান, অনেক সময় পুরুষ অপরাধবোধে ভুগেও সম্পর্ক করে ফেলেন।

নিজেকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করা:
সব মানুষের মাঝেই ভালো-মন্দ দুটো দিক আছে। কারো চোখে ভালো সাজার জন্য নিজেকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করা, মন্দ দিক লুকিয়ে নিজেকে আরেকজনের মনের মত করে উপস্থাপন করে মন পাওয়ার চেষ্টা খুবই সাধারণ একটা কৌশল নারীদের।

অসহায় হবার মিথ্যা নাটক:
পুরুষ মাতৃ নিজের পৌরুষ দেখানোর জন্য অসহায় নারীকে উদ্ধার করতে ভালোবাসেন। আর নিজেকে অসহায়, নির্যাতিত , নিপীড়িত সাজিয়ে রাখেন অনেক মেয়েই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে এমন কিছুই নয়। এমন নারীদের জন্যই সত্যিকারের নির্যাতিত নারীরা অবহেলার শিকার হন।

অন্য পুরুষদের জড়িয়ে নাটক:
অধিকাংশ নারীই নিজের পছন্দের পুরুষের কাছে বাড়িয়ে বলতে পছন্দ করেন যে কত পুরুষ তাঁকে পেতে চায় কিংবা তার প্রেমের পাগল। এই ব্যাপারটায় পুরুষেরা বিশ্বাস করেন আর ভাবেন যে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। ফলে জড়িয়ে পড়েন সম্পর্কে।

নানা রকম মিথ্যা আশ্বাস ও অভিনয়:
বিভিন্ন বিষয়ে নানান রকমের মিথ্যা প্রতিজ্ঞা, আশ্বাস দেয়াটা সম্পর্কের শুরুর আগে অনেক নারীই করে থাকেন। যেমন বিয়ের আগে বলে যে শ্বশুর-শাশুড়ি-দেবর-ননদের সাথে মিলেমিশে থাকতে চান। কিন্তু বিয়ের পর সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যায় তার চাহিদা। বা বিয়ের আগে বলেন যে অর্থের লোভ তাঁর নেই। কিন্তু এক সময় এই অর্থই একমাত্র কামনা হয়ে দাঁড়ায়।